Ad Code

Responsive Advertisement

বাংলাদেশের অজানা ৫টি আকর্ষণীয় স্থান যার অপরূপ সন্দর্জ মন কেড়েছে পর্যটকদের, একবার গেলে বার বার যেতে ইচ্ছে করে.

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি আমাদের চির সবুজ বাংলাদেশ। এদেশে রয়েছে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান। আজকে আমরা তেমনি আকষণীয় ৫টি স্থান নিয়ে কথা বলবো চলুন শুরু করা যাক.


ভ্রমণ করতে কম বেশি আমরা সবাই পছন্দ করি, কিন্তু আমরা যখনি বাংলাদেশে ভ্রমণ এর কথা চিন্তা করি তখন আমাদের মনে আসে ক্সসবাজার অথবা সেন্টমার্টিন  কিন্তু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি আমাদের চির সবুজ বাংলাদেশ। এদেশে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান রয়েছে যার নাম হয়তো আমরা অনেকে জানি ই না অথবা জানলেও যাওয়ার কথা চিন্তাও করিনা। 

আমাদের আজকের লিস্ট এর প্রথম নামটি হচ্ছে সাজেক ভ্যালি,

(০১) সাজেক ভ্যালি: 


সাজেক অথবা সাজেক ভ্যালি উপত্যকা বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাই উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের একটি বিখ্যাত পর্যটন স্থল। রাঙামাটির একেবারে উত্তরে অবস্থিত এই সাজেক ভ্যালিতে রয়েছে দুটি পাড়া- রুইলুই এবং কংলাক। এখানে সাজেক বিজিবি ক্যাম্প অবস্থিত উল্লেখ সাজেকের বিজিবি ক্যাম্প বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উঁচুতে অবস্থিত বিজিবি ক্যাম্প । বিজিবি সদস্যদের সুষ্ঠ পরিকল্পনায় , বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের দ্বারাই বর্তমান সাজেকের এই ব্যাপক উন্নয়ন সম্ভম হয়েছে । বর্তমানে সাজেকে ভ্রমণরত পর্যটকদের জন্য প্রায় সকল ধরণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয় । সারাবছরই সাজেক যাওয়া যায়। আর সাজেকে পাহাড়ধস বা রাস্তাধস এরকম কোন ঝুকি নেই । সাজেক রুইলুইপাড়া এবং কংলাক পাড়া এই দুটি পাড়ার সমন্বয়ে গঠিত । ১৮৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত রুইলুই পাড়ার উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৭২০ ফুট । আর ১৮০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত কংলাক পাহাড়-এ কংলাক পাড়া অবস্থিত । সাজেকে মূলত লুসাই ,পাংখোয়া এবং ত্রিপুরা আদিবাসী বসবাস করে । সাজেকের কলা ও কমলা বেশ বিখ্যাত । রাঙামাটির অনেকটা অংশই দেখে যায় সাজেক ভ্যালি থেকে । তাই সাজেক ভ্যালিকে রাঙামাটির ছাদ ও বলা হয়।


(০২) নিঝুমদ্বীপে

নোয়াখালী তে অবস্থিত মেঘনা নদীর মোহনায় হাতিয়া উপজেলায় নিঝুমদ্বীপের অবস্থান। ১৯৪০ এর দশকে এই দ্বীপটি বঙ্গোপসাগর হতে জেগে উঠা শুরু করে। মাছ ধরতে গিয়ে হাতিয়ার কিছু জেলেরা নিঝুমদ্বীপ আবিস্কার করে। পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি নিঝুমদ্বীপে জনবসতি শুরু হয়। মূলত হাতিয়ার জাহাজমারা ইউনিয়ন হতে কিছু জেলে পরিবার প্রথম নিঝুমদ্বীপে আসে। নিঝুমদ্বীপ সংলগ্ন এলাকায় প্রচুর চিংড়ি মাছ ধরা পড়তো বিধায় জেলেরা এই দ্বীপের নাম দেয় ‘‘ইছামতির দ্বীপ’’ উল্লেখ নোয়াখালীতে চিংড়ি মাছ কে ইছা মাছ বলা হয়। ৮০ এর দশকের শুরুতে এই দ্বীপটি বাংলাদেশের মানুষের কাছে নিঝুম দ্বীপ নাম  পরিচিতি লাভ করে। মনকাড়া সৌন্দর্য রয়েছে এই দ্বীপের, খুব সহজে কম খরচে ভ্রমণ করতে পারবেন যে কেউও।


(০৩) সিলেট:

সিলেটের কয়েকটি আকষণীয় স্থান রয়েছে যেমন সিলেটের জাফলং, বিছানাকান্দি, রাতারগুল এসব স্থানে রয়েছে মনকাড়া সৌন্দর্য। সাথে অপরূপ চা বাগানের তো রয়েছে ই, চা বাগান সিলেটের বাড়তি আকর্ষণ। 

সিলেটের আরো একটি আকর্ষণীয় স্থান হচ্ছে রাতারগুল

রাতারগুল সিলেটের গোয়াইনঘাটে অবস্থিত। এখানে হিজলে ফল ধরে আছে শয়ে শয়ে। বটও চোখে পড়বে মাঝেমধ্যে, মুর্তা গাছ কম। বড়ই অদ্ভুত এই জলের রাজ্য। কোনো গাছের হাঁটু পর্যন্ত ডুবে আছে পানিতে। একটু ছোট যেগুলো, সেগুলো আবার শরীরের অর্ধেকই ডুবিয়ে আছে জলে। কোথাও চোখে পড়বে মাছ ধরার জাল পেতেছে জেলেরা।


(০৪) খাগড়াছড়ি:

বাংলাদেশের পার্বত্য আরেকটি জেলা খাগড়াছড়ি। নদী, পাহাড়, রাবার বাগান, আলুটিলা সুড়ঙ্গ, রিছাং ঝর্ণা দেখতে অনেকেই বিড় জমান খাগড়াছড়ির বিভিন্ন স্থানে, অপরূপ সোন্দর্জ থাকায় স্থানটি পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন।


(০৫) সুন্দরবন: 

সুন্দরবন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জীববৈচিত্র্যের লীলাভূমি এই বিশ্বের ঐতিহ্য  সুন্দরবন। দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে পছন্দের ট্যুর অপারেটরের সঙ্গে যোগাযোগ করে সুন্দরবন যাত্রা করা যায়। 

সুন্দরবনের কিছু আকর্ষণী স্থান হচ্ছে মংলা, হাড়বাড়িয়া, কটকা, দুবলারচর, কচিখালী, পাখির খাল, ডিমের চর, নাইট সাফারী পার্ক, জামতলা সী-বীচ, টাইগার টিলা, কুমিরের প্রজননকেন্দ্র এবং করমজল।

আপনার ভ্রমণ এক্সপেরিয়েন্স অবশ্যয় ই আমাদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেননা  

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code

Responsive Advertisement