Ad Code

Responsive Advertisement

সর্বপ্রথম কারা, কবে, এবং কিভাবে বাংলাদেশে ইসলাম ধর্ম এনেছে ""পার্ট ১"" How did Islam come to Bangladesh.

সর্বপ্রথম কারা, কবে, এবং কিভাবে বাংলাদেশে ইসলাম ধর্ম এনেছে, কিবাবে বাংলাদেশের মানুষ সেই বিদেশী মানুষের ভাষা বুজে ইসলাম গ্রহণ করলো, ইনশা-আল্লাহ আমরা আপনাদের সম্পূর্ণ দলিল সহ ৩ ভাগ করে বলবো আজকে  ""পার্ট ১"" 

বিভিন্ন গবেষণা ও প্রাপ্ত প্রমান পত্রের প্রেক্ষাপটে এটা বুজা যায় যে সর্ব প্রথম বাংলাদেশের লালমনিরহাট জেলায় ৬২০ খ্রিষ্টাব্দে ইসলাম প্রচার যাত্রা শুরু হয়। এছাড়াও ৬৯০ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের প্রথম মসজিদটিও নির্মিত হয় লালমনিরহাট জেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের ‘মজেদের আড়া’ নামক গ্রামে। এই মসজিদ তীর নাম সাহাবায়ে কেরাম জামে মসজিদ রাখা হয়। ১৯৮৭ সালে পঞ্চগ্রামে জঙ্গল খননের সময় প্রাচীন মসজিদের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়। এর একটি ইটে কালেমা তাইয়্যেবা ও ৬৯ হিজরি লেখা রয়েছে। এ থেকে অনুমান করা হয়, মসজিদটি হিজরি ৬৯ অর্থাৎ ৬৯০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে স্থাপন কিংবা সংস্কার করা হয়। 

রংপুর জেলার সংরক্ষিত অনেক ইতিহাস গ্রন্থ থেকে জানা যায়, হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মামা, অর্থাৎ মা আমেনার চাচাতো ভাই আবু ওয়াক্কাস (রা.) ৬২০ থেকে ৬২৬ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বাংলাদেশে ইসলাম প্রচার করেন। অনেকের মতে পঞ্চগ্রামের মসজিদটিও হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মামা, অর্থাৎ আবু ওয়াক্কাস (রা.) নির্মাণ করেন যা ৬৯০ খ্রিষ্টাব্দে সংস্কার করা হয়। 

মতিউর রহমান বসুনিয়া লিখা ‘রংপুরে দ্বীনি দাওয়াত’ বই এ ও এই মসজিদের বিবরণ আছে।  কিন্তু অনেকে মনে করেন আমাদের দেশে সরব প্রথম ইসলাম প্রচার করেন ""ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বিন খিলজী’" কিন্তু  এসব তথ্য গুল প্রমাণ করে যে এর অনেক আগেই বাংলাদেশে ইসলাম প্রচার শুরু হয়। 

ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বিন খিলজীর ১২০৪ খ্রিষ্টাব্দে বাংলা বিজয় করেন এবং ইসলাম প্রছার করেন কিন্তু তার প্রায় ৬০০ বছর আগেই সাহাবীদের দ্বারা বাংলাদেশে ইসলাম ধর্মের আবির্ভাব হয় এবং বাংলাদেশের প্রথম মসজিদও নির্মিত হয় সেই সময়েই জার নাম কনর করা হয় সাহাবায়ে কেরাম জামে মসজিদ ।

একটি সূত্র থেকে জানা যায় ৬১৭ খৃস্টাব্দে সাহাবী হজরত আবু ওয়াক্কাস মালিক বিন ওহাইবের (রা.) তার ৩ জন সফর সঙ্গী সাহাবী ০১. হজরত কাসেম ইবনে হুজাইফা (রা.), ০২. উরওয়া ইবনে আসাসা (রা.), ০৩. আবু কায়েস ইবনুল হারিসও (রা.) চীনে যাবার পথে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও সিলেট বন্দরে  নোঙ্গর করেছেন সেই সময় ওনারা সিলেট ও চট্টগ্রামে ইসলাম প্রচার করেন তাদের সান্নিধ্যে এসে আমাদের দেশের কিছু সংখ্যক মানুষ ইসলামের ছায়াতলে এসেছিলেন। মূলত এখান থেকেই বাংলাদেশ ইসলামের যাত্রা। 

ইসলামের পূর্বযুগে অর্থাৎ প্রাক ইসলামি যুগে আরব বণিকরা সমুদ্র পথে আবিসিনিয়া থেকে চীন পর্যন্ত তাদের বাণিজ্যি সম্প্রসারিত ছিল। আরব থেকে চীনে যাওয়ার পথে তাদের কয়েকটি ঘাঁটিও ছিলো। তার মদ্দে তাদের প্রথম ঘাঁটি ছিলো মালাবর। আরবরা সব সময় মালাবরের উপর দিয়ে চট্টগ্রাম ও সিলেট হয়ে চীনে আসতেন।  আর আসা যাওয়ার পথে চট্টগ্রাম ও সিলেট এ ইসলামের  আবির্বাব ঘটে। নাম জানা অজানা হাজারো সাহাবী দক্ষিণ এশিয়া তে ইসলাম প্রচারে কাজ করেছেন। চীনের ক্যন্টনসমুদ্র তীরবর্তী হজরত আবু ওয়াক্কাসের (রা.) মাজার আজও সেই সাক্ষ্য বহন করে আছে। সমুদ্র তীরের কোয়াংটা মসজিদও তিনিই নির্মাণ করেন।

অধ্যাপক দেওয়ান মুহাম্মদ আজরফ বলেন হজরত ওমর (রা.) শাসনা আমলে ২ জন সাহাবী যাদের নাম  ০১. মামুন এবং ০২.  মুহাইমেন (রা.) বাংলাদেশে আগমন করেন। এবং বাংলাদেশে ইসলাম প্রচার করেন 

সম্প্রতি বাংলাদেশে ইসলাম আগমনের চাঞ্চল্যকর যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, তাতে সব রকমের সন্দেহ ও সংশয়ের অবসানতো ঘটেছেই উন্মোচিত হয়েছে ইতিহাসের নতুন দিগন্ত। লালমনিরহাট জেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের বড়বাড়িতে রামদাস মৌজার, মসতারপাড় নামক স্থানে ৬৯ হিজরিতে (আনুমানিক ৬৯২ খ্রি.) নির্মিত একটি মসজিদ পাওয়া গেছে।  ইনশা-আল্লাহ আমরা বাংলাদেশের ইসলাম আগমনের পার্ট ২ তে বাকি কথা লিখবো,

পার্ট ২

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code

Responsive Advertisement