Ad Code

Responsive Advertisement

তোর বউয়ের নাভির নিচে তিলটা অনেক সুন্দর

 তোর বউয়ের নাভির নিচে তিলটা অনেক সুন্দর


রাসেলের মুখে এইরকম কথা শুনে পুরো শরীর কেপে উঠলো জাহিদের। নিজের চোখকে যেনো বিশ্বাস করতে পারছেনা ও। এসব কি বলছে রাসেল? আমি কি স্বপ্ন দেখছি?বেস্টফ্রেন্ড হয়ে এই ধরনের কথাবার্তা? এইসব ভাবতে ভাবতে জাহিদ রাসেলকে বলে উঠলো....

কি বলছিস এসব তুই? ঝিনুকের নাভির নিচে তিল আছে এটা কেমনে জানলি তুই?

না জানার কি আছে বন্ধু? এটা এখন শুধু আমি নয় পুরো পৃথিবীর মানুষ জানবে।

রাসেল, এবার কিন্তু বেশি হয়ে যাচ্ছে।কি বলতে চাচ্ছিস তুই ?

তেমন কিছুনা। তবে নিজের বউকে দিয়ে এইরকম যৌনব্যবসা না করালেই পারতি..কত টাকা লাগবে তোর আমি দিতাম।

জাহিদ আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারলোনা। রাসেলের শার্টের কলার চেপে ধরলো। রাগে ফুসফুস করছে জাহিদ। মনে হচ্ছে রাসেলকে এই মুহুর্তে খুন করে ফেলবে।

মুখ সামলে কথা বলবি। আজকে তুই আমার বন্ধু বলে ছেড়ে দিলাম। অন্যকেউ হলে এখানে মেরে পুতে রেখে দিতাম। আমার ঝিনুকের সম্পর্কে এতটা বাজে কথা বলতে তোর একটুও আত্মা কাঁপলো না?

জাহিদ স্পষ্ট লক্ষ করলো রাসেল কাঁদছে। রাসেলের চোখ দিয়ে টপ টপ করে বৃষ্টির ফোটার মতো পানি ঝরছে। এই অবস্থা দেখে আরো কৌতুহল হয়ে উঠলো।

কি হয়েছে রাসেল? প্লিজ বলবি কিছু ?

এখন রাত কয়টা বাজে? আর ঝিনুক কোথায়?

ঝিনুক এখন অফিসে । আর এখন তো রাত প্রায় ১১ টার কাছাকাছি।

এত রাত করে ও অফিস থেকে ফেরে এর কারনটা কি কোনোদিন জানতে চেয়েছিলি তুই?

হুম। একবার জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তখন বলেছিলো অফিসে অনেক কাজ থাকে তাই আসতে দেরি হয়ে যায়।

বাহ , অনেক সুন্দর। অফিসের নাম করে রাতের বেলা কি সব করে বেড়ায় জানিস তুই?

মানে কি? তুই কি আমাকে বিষয়টা ক্লিয়ার করে বলবি?

ঝিনুক আর ওর অফিসের বসের সাথে পর্নোভিডিও ফাস হয়েছে।

হোয়াট?

ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা

জাহিদ অবাক হয়ে গেলো। হা করে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রাসেল এর দিকে। একমুহুর্তের মধ্যে সবকিছু যেনো এলোমেলো হয়ে গেলো। ঠাস ঠাস করে দুইটা চড় মারলো রাসেল এর গালে। জাহিদ পাগলের মতো হয়ে যায়।

আমাকে মেরে ফেল। কেটে ফেল। তবুও আমি কিছু বলবোনা। আমি যখন প্রথম এই ভিডিও টা দেখি , নিজের চোখকে আমিও বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। কিন্তু এটাই সত্য। (রাসেল)

তোর কাছে কোনো প্রমান আছে? (অস্থিরতার সাথে রাসেলকে প্রশ্নটা করে জাহিদ ।)

হ্যাঁ। এই দেখ ..

রাসেল ভিডিও টা চালু করে জাহিদের সামনে ধরলো। সেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিলো ঝিনুক আর ওর অফিসের বস ৤৤৤৤।নিজের মুখ চেপে ধরে জাহিদ। এইসব ও কি দেখছে। এইটা দেখা আর শুনার আগে কেনো মরন হলোনা জাহিদের।

জাহিদ চিৎকার করে বলে উঠলো..

আমি এটা বিশ্বাস করিনা।এটা হতে পারেনা। আমার ঝিনুক কখনোই এমনটা করতে পারেনা।

এখন তো দেখলি কতটা নিচে নেমেছে ঝিনুক? ঘরে নিজের স্বামী থাকতে অন্য পরপুরুষের সাথে... না জানি আরো কত কি করেছে

চুপ..একদম চুপ। ঝিনুক সম্পর্কে আর একটা বাজে কথা বললে আমি ভুলে যাবো যে তুই আমার বন্ধু। ঝিনুকের মুখে না শুনা পর্যন্ত আমি কিছুতেই আমি বিশ্বাস করবোনা। তুই চলে যা এখান থেকে।

রাসেল চলে গেলো। মনে হয় কিছু টা কাটা গায়ে নুনের ছিটা দিতেই এখানে এসেছিলো রাসেল। এতকিছু হওয়ার পরও জাহিদ একজনের জন্য অপেক্ষা করছে। আর সে হলো ঝিনুক । ঝিনুককে ও প্রচন্ড বিশ্বাস করে। রাসেল ভুলে ওর মোবাইলটা ফেলে রেখে চলে যায়। কিন্তু জাহিদ মোবাইলটা ধরতেই ভয় পাচ্ছিলো। হৃদপিন্ড কাপছিলো অনেক জোরে জোরে।

আসুন এই মুহুর্তে ছোটোখাটো একটা পরিচয়ে আসা যাক। মাত্র তিন মাস আগে ঝিনুককে বিয়ে করেছে জাহিদ। বিয়ের ১ মাস আগে থেকে পরিচয় ছিলো ঝিনুকের সাথে। মুলত একমাসেই ওরা একে অপরকে চেনে জানে এবং সবশেষে ভালোবেসে ফেলে। আর এই ভালোবাসার জোরেই তাদের মধ্যে বিয়েটা হয়ে যায়। জাহিদ একটা প্রাইভেট কোম্পানির ম্যানেজার পদে ৬ মাস আগে জয়েন করেছিলো। ছোটকালেই বাবাকে হারায় ও। পারিবারিক অবস্থা অতটা সচ্ছল না হওয়ায় কোনোরকমে একটা চাকরি জোগাড় করেছে। ভালো পোষ্টিং। আর চাকরিটা পাওয়ার সাথে সাথে বিয়ের জন্য উঠে পড়ে লেগে জাহিদের মা। শেষমেষ ঝিনুককে বিয়েটা করেই ফেলে জাহিদ ।

এইরে ইতিমধ্যে ঝিনুক চলে আসছে। আসুন বাকি পরিচয় গল্পের মাঝে মাঝে দেওয়া হবে। ঝিনুক বাসায় ঢোকার সাথে সাথে জাহিদ ওর সামনে গিয়ে হাজির

দাড়াও ঝিনুক । কোথায় ছিলে এতক্ষন?

সররাচর এইরকম প্রশ্ন করেনা জাহিদ । কিন্তু হঠাৎ করে আজকে এইরকম প্রশ্ন করায় কিছুটা অবাক হলো ঝিনুক ।

কোথায় ছিলাম তুমি জানোনা?

না জানিনা। আজকে তোমাকে বলতে হবে কোথায় ছিলে তুমি? তোমার অফিস প্রতিদিন ৮:৩০ এ ছুটি হয়। আর বাসায় আসতে আসতে কেনো ১১ টা বাজে। এই প্রশ্নের জবাব দিতে হবে আজকে তোমাকে।

জাহিদ তুমি ভালো করেই জানো যে আমি একটা অফিসে পরের অধীনে চাকরি করি। কতকাজ করতে হয়। আমাকে বসিয়ে রেখে তারা বেতন দেয়না।

হা হা। প্রতিদিনই তোমার কাজ থাকে? নাকি অফিসের বসের সাথে তুমি ফস্টি নষ্টি করে বেড়াও?

জাহিদ.. নিজের ঘরের বউ সম্পর্কে এতবাজে কথা বলতে একটুও মুখে আটকায় না তোমার?

না আটকায় না। এইটা কি ? হ্যাঁ?

জাহিদ ঝিনুকের সামনে ভিডিও টা তুলে ধরলো। একনজর দেখেই ঝিনুক চোখ বন্ধ করে মোবাইলটা ফেলে দিলো। বাকরুদ্ধ হয়ে গেলো ঝিনুক ।

এরপরও কি আমি তোমাকে বিশ্বাস করবো ঝিনুক? নিজের চোখেই তো প্রমান দেখলে তুমি।

বিশ্বাস কর...

চুপ..একদম চুপ। জাস্ট সাইলেন্স। আমার তোমাকে কিছু বলার নেই ঝিনুক । যখন রাসেল আমাকে প্রথম ভিডিও টার কথা বলে, আমি ওর গালে কসে দুইটা চড় মারি। তারপর যখন ভিডিও টা চোখের সামনে ধরে তখনও আমি বিশ্বাস করিনি। আমি অস্বীকার করেছি এইটা কোনোরকমেই তুমি হতে পারোনা।

এখন তোমার কাছে আমার একটা প্রশ্ন, শুধু বলবে যে ওইটা কি সত্য নাকি মিথ্যা?

ঝিনুকের চোখের পানি গাল বেয়ে অঝোরে পড়ছিলো। হ্যাঁ আসলেই তো ওটা ঝিনুক ই। কিন্তু এই নির্মম সত্যটা কিভাবে জাহিদের সামনে স্বীকার করবে ঝিনুক? তার তো এই পৃথিবীতে বেচে থাকার কোনো অধিকার ই নেই। এইসব ভাবতে ভাবতে ঝিনুক যে উত্তরটা জাহিদকে শুনালো সেটা শুনার জন্য জাহিদ মুটেও প্রস্তুত ছিলোনা।

হ্যাঁ। ভিডিওর ওই মেয়েটা আমিই...

চলবে.......!!!

অসতী বউ 

সূচনা পর্ব ভালো সাড়া পেলে আগামী পর্বে সমাপ্তি করব ইনশাল্লাহ এবং নেস্ট পর্ব পেতে পাশেই থাকুন ধন্যবাদ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code

Responsive Advertisement